স্কুলশিক্ষকের বাড়ির মাটির নিচে পাওয়া গেল ‘গুপ্তধন’
নিউজ ডেস্ক:
গুপ্তধনের সন্ধান পাওয়া, তাও নিজেরই বাড়ির মাটির নিচে! রূপকথায় শোনা এমন গল্প বাস্তব হলো ঠাকুরগাঁওয়ের এক স্কুলশিক্ষকের জীবনে। সেই গুপ্তধনের বর্তমান মূল্য যা-ই হোক, খবরটি নিঃসন্দেহে চাঞ্চল্যকর।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রাজারামপুর গ্রামে ওই স্কুলশিক্ষকের বাড়ির মাটির নিচে একটি পিতলের কলস থেকে বের হয় ১৪৩ মুদ্রা।
সোমবার রাতে ওই গ্রামের শিক্ষক কেশব চন্দ্র বর্মনের বাড়ি থেকে এসব মুদ্রা উদ্ধার হয়।
তিনি পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারীউপজেলার বলরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
রুহিয়া থানার ওসি চিত্ত রঞ্জন রায় বলেন, মনে হচ্ছে মুদ্রাগুলো দস্তা, ধাতব ও রুপা মিশ্রিত। ফারসি ও ইংরেজি লেখা রয়েছে মুদ্রার পিঠে। উদ্ধার করা মুদ্রা প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগে জমা দেওয়া হবে।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে ওসি চিত্ত রঞ্জন রায় বলেন, কেশব চন্দ্র বর্মনের বাড়ির বাথরুমের স্ল্যাব বসানোর জন্য মাটি খনন করছিলেন কয়েকজন শ্রমিক। খননের একপর্যায়ে ঢাকনাযুক্ত একটি পিতলের কলস বের হয়ে আসে। শ্রমিকরা ওই কলস খুলে ভেতরে প্রাচীন মুদ্রাগুলো দেখতে পান।
পরে প্রায় ৩ কেজি ওজনের ওই কলসটি স্কুলশিক্ষক কেশব চন্দ্র বর্মনের কাছে হস্তান্তর করেন শ্রমিকরা।