মিয়ানমারে নতুন নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি সেনাবাহিনীর
অনলাইন ডেস্ক: মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান করে জরুরি অবস্থা জারি করেছে সেনাবাহিনী। সোমবার দেশটির গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি, মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট ও আরও কয়েকজন মন্ত্রীকে আটক করা হয়।
এর মধ্যে সাবেক জেনারেল উ মিন্ট শোয়েকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।
সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করার জন্য ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি-এনএলডি নেতৃত্বাধীন সরকারে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন তিনি।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী বলেছে যে, জরুরি অবস্থা শেষ হলে দেশটিতে নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং বিজয়ী দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে। সেনা অভ্যুত্থানের কয়েক ঘণ্টা পর এমন তথ্য জানানো হলো।
বিবিসি জানায়, সামরিক বাহিনীর ফেসবুক পেজে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা প্রকৃত বহু-দলীয় গণতন্ত্র চর্চা করবো… যেখানে পূর্ণ ভারসাম্য এবং নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা হবে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর এবং জরুরি অবস্থা শেষ হয়ে যাওয়ার পর ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে।’
সামরিক বাহিনী আরও জানায়, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সামরিক সরকার যুদ্ধ চালিয়ে যাবে এবং মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে বেগবান করা হবে। এ ছাড়া দেশজুড়ে যুদ্ধবিরতি প্রক্রিয়া বন্ধ করতে কাজ করে যাবে সেনাবাহিনী।