ভালবাসা দিবসের বিরুদ্ধে ফেসবুকে প্রতিবাদী স্ট্যাটাস

Share This:

মামুন রানা:

সেই আদিম কাল থেকেই নারীরা পন্য হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তাদের অজান্তেই তারা পন্য হচ্ছেন। কখনো বা অধিকারের কথা বলে আবার কখনো বা কোন কম্পিটিশন -এর ছলে।

আগের যুগের সম্রাট, বাদশা, রাজা বা জমিদারদের আমলে নারীরা উপঢৌকন হিসেবে ব্যবহার হতো, আর এখন করপোরেট জগতে তো এর ব্যবহার অনেক বেশি। যুগে যুগে যুদ্ধ বাধাতে, যুদ্ধ থামাতে, যুদ্ধে জিততে নারীদের ব্যবহার বা অবদান ইতিহাসে প্রচুর পাওয়া যায়।

ইদানিং কালে তারই ধারাবাহিকতায় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে স্পষ্ট ভাবেই নারীদের বেপরোয়া ব্যবহার করছেন। পুরুষ পন্যের বিজ্ঞাপনও নারী ছাড়া হয়না, এ যেনো সব ওপেন সিক্রেট।

বিভিন্না কৌশলের ভিত্তিতেই বিভিন্ন দিবস-এর কালচার শুরু করে করপোরেট জগত তাদের ব্যবসা করে যাচ্ছে, সব জায়গায় টার্গেট নারী। দিবস বা কালচারের নগ্ন হস্তক্ষেপ এখন পবিত্র ভালবাসার প্রতি। মানুষের ভালবাসাকে পুজি করে ওয়েস্টার্ন করপোরেট জগত শুরু করে ভালবাসা দিবস, যা সাংবাদিক শফিক রহমানের প্রচারনার মাধ্যেমে, নব্বই দশক থেকে বাংলাদেশেও নগ্ন ভাবে পালিত হচ্ছে। সব চেয়ে দুঃখজনক হচ্ছে পার্কের ভালবাসা এখন রেস্টুরেন্ট থেকে লিটনের ফ্ল্যাটে। আসলে আজকের ভালবাসা দিবস নামে কিছু নাই, আছে কিছু প্রতিষ্ঠানের বানিজ্য, ভালবাসার নামে সম্ভ্রম হারানোর চাপা কান্না। আসল কথা হচ্ছে – সব ফ্রি খানা কা ধান্দা হ্যায়।

আমি কোন দিবসের বিরুদ্ধে নই কিন্তু দিবসের নামে অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে। নারী আমার মা, আমার বোন, আমার স্ত্রী, আমার সন্তান। আপনাদের সচেতনতাই পারে, এই নগ্ন হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে।
আসুন স্রোতে গা না ভাসিয়ে নিজের ধর্মীয় অনুশাসন মেনে, নিজের সংস্কৃতির অবস্থান পরিস্কার করুন। স্রোতের অনুকূলে তো কচুরিপানাও ভাসে।

ভালবাসার কোন দিন নাই, প্রতিটি সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা, দিন, মাস শুধুই ভালবাসার।
ভালবাসা অবিরাম।

*মামুন রানার ফেসবুক স্ট্যাটাস

Loading...