কীভাবে বাড়িতে বসে কার্ডিয়াক ব্যায়ামগুলো করবেন
হৃদ্রোগ প্রতিরোধে যেমন কার্ডিও এক্সারসাইজ বা হৃদ্ব্যায়াম অত্যন্ত জরুরি, তেমন হৃদ্রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্যও এটা জরুরি। গবেষণা বলছে, এর প্রভাবে হার্ট অ্যাটাকের রোগীদের কার্ডিয়াক ফিজিওথেরাপির পর দ্বিতীয়বার হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। এমনকি হৃৎস্পন্দন (হার্ট রেট), অক্সিজেন স্যাচুরেশন, রক্ত সরবরাহ ইত্যাদি স্বাভাবিক হয়ে আসে। আসুন, জেনে নিই কীভাবে বাড়িতে বসে কার্ডিয়াক ব্যায়ামগুলো করা যায়।
দড়ি লাফ
আপনার প্রতিদিনের হার্টের যত্নে এই চর্চাটি করতে পারেন। দড়ি লাফানো হৃৎপিণ্ডের ব্যায়ামগুলোর একটি। রোজ ২০ মিনিট এই অনুশীলন করলে ২২০ ক্যালরি খরচ হয়।
দৌড়ানো
নিয়মিত ৩০ মিনিট জগিং বা দৌড়ানো আপনার ওজন কমাতে, হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে, হতাশা কমাতে এবং রক্তে খারাপ হরমোন কমাতে সহায়তা করবে। এটি ওজন কমায়, রক্তচাপ ও সুগার কমায়, ফলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে।
সিঁড়িতে দৌড়ানো
বাড়িতে করা যায়, এমন আরও একটি কার্ডিও ওয়ার্কআউট হচ্ছে সিঁড়িতে দৌড়ানো। এটি নিয়মিত করার মাধ্যমে আপনার শরীরে শক্তি তৈরি করতে সহায়তা করে এবং হৃৎস্পন্দনকে ক্রমবর্ধমান করে।
জাম্পিং জ্যাকস
এক জায়গায় সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে এবং দুই হাত মাথার ওপরে তোলার সঙ্গে লাফ দিয়ে দুই পা দুই পাশে ছড়িয়ে দিতে হবে, এই ব্যায়ামের ফলে দেহের অতিরিক্ত মেদ ঝরে যাবে। এক দিন বিরতি নিয়ে মোট ১০ মিনিট ব্যায়ামটি করতে পারলে প্রায় ৯৪ ক্যালরি শক্তি ব্যয় হবে।
স্কোয়াট জাম্প
স্কোয়াট জাম্প হলো কার্ডিয়াক সার্কিট ট্রেনিংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ থেরাপিউটিক ব্যায়াম। এখানে প্রথমে স্কোয়াট পজিশনে গিয়ে তারপর লাফ দিয়ে আবার তাৎক্ষণিক স্কোয়াট পজিশনে চলে গিয়ে আবার লাফাতে হয়। কিন্তু লক্ষণীয় হলো, এতে হাঁটুর ওপর অনেক চাপ পড়ে, কাজেই নতুনদের এ বিষয়ে আলাদাভাবে খেয়াল রাখতে হবে। এটি পাঁচ-ছয়বার করে তিন-চার সেট প্রতিদিন করতে পারলে দেহের মেদ কমে আসবে এবং পায়ের মাংসপেশি শক্তিশালী হবে।
কিক বক্সিং
বাড়িতে বসে করার মতো কার্ডিয়াক ব্যায়ামগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম ধরা হয় কিক বক্সিংকে। এটি শুধু হৃৎপিণ্ডের জন্য নয়, বরং শক্তিমত্তা বাড়ানোর ব্যায়াম হিসেবেও বিবেচিত। এটি আপনাকে ১০ মিনিটে ১০০ ক্যালরি পর্যন্ত খরচ করতে সাহায্য করে। শুধু তা-ই নয়, এটি দুশ্চিন্তাও কমায়।
বারপি’স
এক জায়গায় কুঁজো হয়ে বসে দুই হাতে সমানভাবে দেহের ভর নিয়ে দুই পা ধীরে ধীরে পেছনের দিকে লম্বা করে দিতে হবে। তারপর দুই পায়ে ভর করে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে লাফ দিতে হবে। প্রতিদিন ৩০ বার করতে পারলে সারা শরীরে মাংসপেশির কার্যকলাপ, রক্ত সংবহন বৃদ্ধি পাবে এবং হৃৎস্পন্দন বাড়াতে সাহায্য করবে।