ইউরোপে অবৈধভাবে ঢুকলেই ফেরত

Share This:

অনলাইন ডেস্ক:

ইউরোপে অবৈধ অনুপ্রবেশ সহ্য করা হবে না বলে সাফ জানিয়েছেন ঢাকা সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বরাষ্ট্র বিষয়ক কমিশনার ইলভা জোহানসন। ঢাকা সফরের সমাপনী সংবাদ সম্মেলনে তিনি খোলাসা করে বলেন, বৈধ অভিবাসনকে উৎসাহিত করতে অবৈধ বা অনিয়মিত অভিবাসীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। যারা নতুন করে ইউরোপে অবৈধভাবে প্রবেশের চিন্তা করছেন তাদের তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলার তাগিদও দেন তিনি।

২৭ রাষ্ট্রের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বরাষ্ট্র বিষয়ক কমিশনার বলেন, যারা অনিয়মিতভাবে ইউরোপে গেছেন বা যাওয়ার চিন্তা করছেন তাদের মনে রাখা উচিত যে, তাদের অবশ্যই নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এটা এ জন্য যেন সেই বার্তা সবাইকে দেয়া যায় যে অবৈধভাবে ইউরোপীয় দেশগুলিতে যাওয়া এবং টিকে থাকা সম্ভব নয়। সাংবাদিকদের একটি টিমের সঙ্গে শুক্রবার কমিশনারের আলাপকালে ঢাকাস্থ ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি উপস্থিত ছিলেন। সুইডেনের কর্মসংস্থান ও একত্রীকরণ বিষয়ক প্রাক্তন মন্ত্রী জোহানসন আরও বলেন, বাংলাদেশসহ যেসব দেশ থেকে ইউরোপে অবৈধ বা অনিয়মিত অভিবাসন হয় সেই সব দেশের সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে ইইউ’র প্রত্যাবাসন বিষয়ক সহযোগিতা সত্যিই জোরদার হয়েছে। তাৎক্ষণিক সাড়া দানও বেড়েছে, কারণ ইইউ সদস্য রাষ্ট্রগুলো বৈধ অভিবাসনে উৎসাহ দিচ্ছে। তারা দক্ষ শ্রমিকদের স্থায়ীভাবে গ্রহণে প্রস্তুত। তবে কমিশনার এটাও স্বীকার করেন যে, আইনি বা বৈধ পথে অভিবাসনের ভালো সুযোগ তেরি না করে অনিয়মিত বা অবৈধ অভিবাসন পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে না।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের হাজার হাজার তরুণ প্রতিবছর শীত মৌসুমে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইউরোপে যাত্রা করেন উন্নত জীবিকার আশায়। তাদের উল্লেখযোগ্য অংশ নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারলেও অনেকে পথে জীবন হারান। কারও সলিল সমাধি ঘটে সাগরে। কেউবা মধ্যপ্রাচ্যের মরুভূমি কিংবা আফ্রিকার জঙ্গলে চিরদিনের জন্য হারিয়ে যায়। স্বপ্ন ভঙ্গ হয়ে দেশে ফেরত আসাদের সংখ্যাও কম নয়। জীবনের ঝুঁকি থাকা এই অবৈধ অভিববাসন বন্ধে ইউরোপের দেশগুলো যেমন তৎপর তেমনি তৎপর বাংলাদেশ সরকার। এ নিয়ে বহুমুখী উদ্যোগ চলমান রয়েছে। 
Loading...